প্রসাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া হলে কি করবেন - প্রসাবে জ্বালাপোড়া করলে করণীয়

প্রসাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া হলে কি করবেন ও প্রসাবে জ্বালাপোড়া করলে করণীয় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। কেননা আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব প্রসাবে জ্বালাপোড়া হলে কি করবেন ও প্রসাবে জ্বালাপোড়া করলে করণীয় সম্পর্কে। চলুন তাহলে দেরি না করে প্রসাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া হলে কি করবেন ও প্রসাবে জ্বালাপোড়া করলে করণীয় সম্পর্কে জেনে নিন।
প্রসাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া হলে কি করবেন - প্রসাবে জ্বালাপোড়া করলে করণীয়

প্রসাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া হলে কি করবেন ও প্রসাবে জ্বালাপোড়া করলে করণীয় সম্পর্কে আপনাদের জন্য নিচে ধাপে ধাপে আলোচনা করা হয়েছে। যার মাধ্যমে আপনারা খুব সহজেই জানতে পারবেন প্রসাবে জ্বালাপোড়া করলে করণীয় এর বিস্তারিত সম্পর্কে।

পেজ সূচিপত্রঃ প্রসাবে জ্বালাপোড়া হলে কি করবেন - প্রসাবে জ্বালাপোড়া করলে করণীয়

প্রসাবে জ্বালাপোড়া কমানোর উপায়

আজকের আর্টিকেলের আলোচ্য বিষয় হলো প্রসাবে জ্বালাপোড়া হলে কি করবেন ও প্রসাবে জ্বালাপোড়া করলে করণীয় কি এর বিস্তারিত সম্পর্কে। সাধারণত পরিমাণ মতো পানি পান না করার ফলে প্রসাবে জ্বালাপোড়া হয়। আরো বিভিন্ন কারণে প্রসাবে জ্বালাপোড়া হতে পারে। তবে কিছু কিছু উপায়ের মাধ্যমে প্রসাবে জ্বালাপোড়া কমানো সম্ভব।

পানি পানের পরিমাণ বাড়ালে প্রসাবের সময় ব্যথা বা জ্বালাপোড়া সমস্যা কম হয়। পানি শরীর থেকে দূষিত ব্যাকটেরিয়া গুলো বের করে দেয়। দইয়ে রয়েছে স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়া। এটি শরীরের পিএইচের ভারসাম্য রক্ষা করে। প্রসাবে জ্বালাপোড়া কমাতে প্রতিদিন দুই থেকে তিন কাপ দই খেতে পারেন। 

প্রতিদিন নিয়মিত দই খাওয়ার মাধ্যমে প্রসাবে জ্বালাপোড়া কমানো যায়। আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার মাধ্যমে জানতে পারবেন প্রসাবে জ্বালাপোড়া হলে কি করবেন ও প্রসাবে জ্বালাপোড়া করলে করণীয় কি এর বিস্তারিত সম্পর্কে।

প্রসাবে জ্বালাপোড়া হওয়ার কারণ

প্রসাবে জ্বালাপোড়া হলে কি করবেন - প্রসাবে জ্বালাপোড়া করলে করণীয় কি এই নিয়ে আমাদের আজকের আর্টিকেল। বিভিন্ন কারণে প্রসাবে জ্বালাপোড়া হয়ে থাকে। এক একজনের এক এক কারণে এই ইনফেকশনটি হয়। প্রসাবে জ্বালাপোড়া হওয়ার মূল কারণ হলো পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান না করা। 
পানি আমাদের দেহের বেশিরভাগ রোগ নির্ময় করতে সাহায্য করে। অপর্যাপ্ত পানি দেহের নানাবিধ রোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আর পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান না করার ফলে প্রসাবে জ্বালাপোড়া হয়। নারীদের ক্ষেত্রে এই উপসর্গটি বেশ কষ্টদায়ক। মেয়েদের পায়ুপথের খুব কাছের মুদ্রণালী অবস্থিত।

যার ফলে বায়ু পথের মাধ্যমে অনেক ব্যাকটেরিয়া বা ফাঙ্গাস মূত্রনালীতে প্রবেশ করে এবং জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করে। নারীদের প্রসাবে জ্বালাপোড়া হওয়ার আরেকটি কারণ হচ্ছে পিরিয়ড। প্রতিমাসে মেয়েদের পিরিয়ড হয়। সকলেই শেষ সময় ন্যাপকিন কিংবা কাপড় ব্যবহার করে।

ন্যাপকিন বা কাপড়ের সাথেও জীবাণু বা ব্যাকটেরিয়ার মন্ত্রনালীতে প্রবেশ করে এবং সংক্রমনের সৃষ্টি করে। প্রসাবে জ্বালাপোড়া হলে কি করবেন - প্রসাবে জ্বালাপোড়া করলে করণীয় কি এর বিস্তারিত সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকুন।

প্রসাবে জ্বালাপোড়া কেন হয়

বিভিন্ন কারণে প্রসাবে জ্বালাপোড়া হতে পারে। তবে মূলত পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান না করার ফলে প্রসাবে জ্বালাপোড়া হয়। এক একজনের ক্ষেত্রে একেক রকম ইনফেকশন হতে পারে। পানি আমাদের দেহের বেশিরভাগ রোগ নিরাময় করতে সাহায্য করে। অপর্যাপ্ত পানি দেহের নানাবিধ রোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। পর্যাপ্ত পানির অভাবে প্রসাবে জ্বালাপোড়া হয়। নারী ও শিশুদের ক্ষেত্রে এ সমস্যাটি বেশি লক্ষ্য করা যায়।

কারণ শিশুরা পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করে না যার ফলে প্রসাবে জ্বালাপোড়া দেখা দেয়। মেয়েদের পায়ুপথের খুব কাছে মূত্রনালী অবস্থিত। যার ফলে পায়ুপথের মাধ্যমে অনেক ব্যাকটেরিয়া বা ফাঙ্গাস মন্ত্রণালী দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে। যার ফলে প্রসাবে জ্বালাপোড়া সৃষ্টি হয়। নারীদের প্রসাবে জ্বালাপোড়া হওয়ার আরেকটি কারণ হিসেবে উল্লেখযোগ্য হল পিরিয়ড।

পিরিয়ডের সময় বিভিন্ন ধরনের ন্যাপকিন কিংবা কাপড় ব্যবহার করার ফলে তার সাথে জীবাণু ব্যাকটেরিয়া মন্ত্রনালীতে প্রবেশ করে এবং প্রসাবে জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করে। উপরের উক্ত কারণগুলোর ফলে প্রসাবে জ্বালাপোড়া হয়। 

প্রসাবে জ্বালাপোড়ার ঘরোয়া চিকিৎসা

প্রসবের জ্বালাপোড়া বিভিন্ন কারণে হতে পারে। তবে কিছু কিছু ঘরোয়া উপায়ের মাধ্যমেও প্রসাবে জ্বালাপোড়া কমানো সম্ভব। আর সেগুলো সম্পর্কে আপনাদের জেনে থাকা দরকার।

প্রসাবে জ্বালাপোড়ার ঘরোয়া চিকিৎসা গুলো হলো:
  1. প্রসাবের জ্বালাপোড়া বা ইউরিন ইনফেকশন রোধে পানি পানের বিকল্প নেই। পানি বা তরল জাতীয় খাবার দৈনিক প্রভাবের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এটি প্রসাবের সাথে দেহের ব্যাকটেরিয়া বা ফাঙ্গাস বের হয়ে যায়। ফলে প্রসাবে জ্বালাপোড়া দূর হয়।
  2. প্রসাবে জ্বালাপোড়া দূর করতে সবুজ শাক সবজির অন্ত নেই। শাক সবজির মাঝে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে যাদের প্রয়োজনীয় পানির অভাব পূরণ করে। তাই প্রসবের জ্বালাপোড়া দূর করতে প্রচুর পরিমাণে সবুজ শাকসবজি খেতে হবে।
  3. গরম চাপ ইউরিন ইনফেকশন দূর করতে এবং পেট ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। হট ওয়াটার ব্যাগ কিংবা কাপড় গরম করে তলপেটে ও এর আশেপাশে এবং পিঠের নিচের অংশে লাগাতে পারেন। গরম চাপ দেওয়ার ফলেও প্রসাবে জ্বালাপোড়া দূর হয়।
  4. প্রসাবে জ্বালাপোড়ার জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী হচ্ছে পানি শূন্যতা। দেহের প্রয়োজন অনুযায়ী পানি পান না করলে খুব দ্রুত ইউরিন ইনফেকশন হয়ে যায়। দৈনিক ৭-৮ গ্লাস পানি পান করার মাধ্যমে প্রসাবের জ্বালাপোড়া দূর হয়।
  5. দই প্রসবের জ্বালাপোড়া দূর করতে খুবই কার্যকরী। মিষ্টি দই এবং টক দই উভয়ে রয়েছে স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়া। এই ব্যাকটেরিয়া দেহের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া গুলোকে ধ্বংস করে দেয়। তাই প্রতিদিন দই খাওয়ার মাধ্যমে প্রসাবে জ্বালাপোড়া দূর করা যাবে।

উপসংহার

আমাদের আজকের আর্টিকেলটির মূল বিষয় ছিল প্রসাবে জ্বালাপোড়া হলে কি করবেন ও প্রসাবে জ্বালাপোড়া করলে করণীয় কি এর বিস্তারিত সম্পর্কে। প্রসাবে জ্বালাপোড়া হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করা উচিত। প্রসাবে জ্বালাপোড়া থেকে জন্ম নিতে পারে বিভিন্ন রকম ইনফেকশন। আরে ইনফেকশনগুলো থেকে তৈরি হতে পারে বিভিন্ন রকম রোগ।

পরিশেষে বলা যায় যে, আজকের আর্টিকেলটি প্রসাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া হলে কি করবেন - প্রসাবে জ্বালাপোড়া করলে করণীয় কি এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

এরকম সুন্দর সুন্দর টিপস পেতে পোস্টটি আপনার বন্ধু-বান্ধব ও পরিচিতদের সাথে বেশি বেশি করে শেয়ার করুন। আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

Previous Post Next Post